সাকিব, সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধনকারী সবুজ বেষ্টনী ঝাউবাগান হুমকির মুখে পড়ছে দিনের পর দিন তাই একই পদক্ষেপ না নিলে হারিয়ে যাবে সৌন্দর্য বর্ধনকারী ঝউবাগান। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙছে বালিয়াড়ি ও সড়ক। সমুদ্রগর্ভে গত ১২ বছরে বিলীন হয়েছে লক্ষাধিক ঝাউগাছ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন শহরের সুন্দর্য রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ ও সৈকতের বালিয়াড়িতে শেকড়যুক্ত গাছ রোপণের দাবি পরিবেশবাদীদের।
তবে পর্যটন বান্ধব শহর রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বর্ষা মৌসুমে এই সমুদ্রের ভয়াবহ বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। এতে ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে বালিয়াড়ি, উপচে পড়ছে সৈকতের ঝাউগাছ ও ভেঙে তছনছ হচ্ছে সৈকতের সড়ক।
গত ৫ দিনে বিলীন হয়েছে সৈকতের ৫ শতাধিক ঝাউগাছ এবং ডায়াবেটিকস পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত দু’কিলোমিটার রাস্তা। গেল কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে সৈকতের বালিয়াড়িতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় আতঙ্কে স্থানীয় সহ সৈকতের ব্যবসায়ীরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষাকারী এই সবুজ বেষ্টনী রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি সৈকতের বালিয়াড়িতে শেকড়যুক্ত গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই খারাপ প্রভাব থেকে কক্সবাজারকে রক্ষা করতে হলে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে এবং শেকড়যুক্ত গাছ রোপণ করতে হবে। তা না হলে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে সমুদ্র সৈকতে সুন্দর্য বর্ধনকারী ঝাউবাগান।
পথশিশুদের কল্যান মূলক সংগঠন “নতুন জীবন” এর সভাপতি ওমর ফারুক হিরু বলেন, পাচঁ দিনের টানা বৃষ্টিতে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অনেক ঝাউগাছ সাগরে বিলিন হয়ে গেছে। সৈকতের বালিকা মাদ্রাসা পয়েন্টে হাজারো ঝাউগাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আজকে সমুদ্র এমন উত্তাল ছিলো যে, ঢেউতে ঝাউগাছগুলো বার বার আছড়ে ফেলছে এবং ঝাউবাগানের ভেতরে ডুকে পড়ছে। আমার সামনেই অনেক ঝাউগাছ ঢেউয়ের আছড়ে মাটিতে পড়ে গেছে।”
তবে, জেলা প্রশাসক জানালেন, সৈকত এলাকার ঝাউবাগান রক্ষায় পর্যটন বান্ধব শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্টদের পত্র দেয়া হয়েছে। তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২-৭৩ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জায়গায় লাগানো হয়। সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি ঝাউগাছ। পরে বাগানের আয়তন আরো বাড়ে। কিন্তু গত ১০ বছরে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়েছে লক্ষাধিক গাছ।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply